শ্মশানের জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

10th October 2020 4:15 pm হুগলী
শ্মশানের জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : গ্রামের শ্মশানের জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সকল গ্রামবাসীরা রাস্তা আটকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়।  গোটা গ্রামজুড়েই শুরু হয় হুলুস্থুল কান্ড, ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর গোঘাট ২নং ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের আনুড়ের পার্বতী লজ সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকায় নাকি সকল গ্রামবাসীদের জন্য একটিই মাত্র শ্মশানের জায়গা রয়েছে, যেখানে বছরের পর বছর ধরে গ্রামের মানুষরা সৎকাজ করে আসছেন।  কিন্তু  হটাৎ করেই তারা জানতে পারেন  শ্মশানের এই জায়গাটি নাকি কামারপুকুরের প্রাক্তন প্রধান গ্রামের দুই ব্যাক্তিকে দুইভাগে বিক্রি করে দিয়েছেন। আর এই খবর জানা মাত্রই সকল গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। এবং গ্রামের শ্মশান যদি কাউকে বিক্রি করা হয় তাহলে সকল গ্রামবাসী মিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।